গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ভুল চিকিৎসায় আফরোজা বেগম (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়ন খানা বাজারের ইউনাইটেড হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের কালারবাড়ি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম খানের স্ত্রী।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৫ মার্চ) আফরোজা বেগমের মা মনিকা বেগম বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রভাষ মন্ডল, ইউনাইটেড হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডা. জাহিদ হোসেন রিন্টু, আফরোজার স্বামী জাহিদ খান, শাশুড়ি রানু বেগম, দেবর শামিম খানকে আসামি করা হয়। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রভাষ মন্ডলসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে, শুক্রবার হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন। এসময় হাসপাতালটি সিলগালা করেন দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রসূতি আফরোজা বেগমের মা মনিকা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তার মেয়েকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করেন তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। দুপুরে চিকিৎসকরা তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তারা জানায় আফরোজা ও তার সন্তান মারা গেছে। এসময় তার মেয়ে ও সন্তানকে চিকিৎসকরা মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন এই মা।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ক্লিনিকের লোকজন তাদের মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) ফয়েজ আহম্মেদ বলেন, প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. প্রভাষ মন্ডল, আফরোজার স্বামী জাহিদ খান ও শাশুড়ি রানু বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।