বিশ্বকাপে তার জায়গা পাওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু আইপিএলে পুরো দলের ব্যর্থতার মাঝেও বিরাট কোহলি যেভাবে খেলে চলেছেন, তাতে তাকে নিয়ে আপত্তি করার অবকাশ থাকে কই। আর নামটাই যখন বিরাট কোহলি, তখন বাদ দেওয়াটাও খুব একটা সহজ না। এমনকি আইপিএলের দুর্দান্ত ছন্দের কারণে বিশ্বকাপে বরং ওপেনার হিসেবেই দেখা যেতে পারে ভারতের এই ব্যাটারকে (বিশ্বকাপ ওপেনার হবেন কোহলি, কপাল পুড়ছে কার?)।
চলতি আসরে ৭ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ২ অর্ধশতকে ৭৯.৩৪ গড়ে ৩৬১ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেটও ১৪৭.৩৪। মূলত কোহলি সমালোচনায় পুড়ছেন এই স্ট্রাইক রেট নিয়েই। কিন্তু আইপিএল আর জাতীয় দল তো এক নয়। দেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কোহলির স্ট্রাইক রেট ১৬১।
সবমিলিয়ে ভারতের নির্বাচকরাও এখন চান কোহলিকে ওপেনার হিসেবে খেলাতে। রোহিত শর্মার সঙ্গে বিরাটের বোঝাপড়া বরাবরই ভালো। সেটাকেই কাজে লাগাতে চায় ভারত। মুম্বাইয়ে রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড় এবং নির্বাচক অজিত আগারকারের মধ্যে আলাপে নাকি এমন সম্ভাবনার কথাই বলা হয়েছে। দৈনিক জাগরণ সূত্রে ভারতের একাধিক গণমাধ্যম সেই খবর প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন- গুজরাটকে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে দিল্লির টানা দ্বিতীয় জয়
মুম্বাইয়ের সেই বৈঠকে কোহলি এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে আলোচনা হয়। বোর্ড চাইছে, বিশ্বকাপে কোহলি ওপেন করুন। মূলত যশস্বী জয়সওয়ালের খারাপ ফর্ম বিবেচনায় এমন ভাবনা নির্বাচকদের। রোহিতের সঙ্গে কোহলি ওপেন করলে দলের শক্তি বাড়বে বলেই মত অনেকের।
সাধারণত তিনে খেললেও কোহলির ওপেনার হিসেবে পরিসংখ্যানও ঈর্ষণীয়। ৯টি টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসেবে নেমে ৪০০ রান করেছেন তিনি। ক্যারিয়ার গড়ের যেখানে ৫১। সেটাই ওপেনার হিসেবে খেললে হয়ে যায় ৫৭। আর স্ট্রাইক রেটও ১৬০ এর বেশি। এসব পরিসংখ্যান বিবেচনায় কোহলিকে ওপেনারের ভূমিকায় রোহিতের পাশে দেখা গেলে খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আর কোহলিকে এমন জায়গা দিতে গিয়ে কপাল পুড়তে পারে শুভমন গিলের। তাকে বিকল্প ওপেনার হিসাবে রাখার ভাবনা রয়েছে। আর স্কোয়াড থেকে বাদ পড়তে পারেন যশস্বী জয়সওয়াল। এদিকে কোহলির জায়গায় দুর্দান্ত ছন্দে থাকা রিয়ান পরাগকে বিবেচনায় রাখতে আগ্রহী ভারতের নির্বাচকরা। আর ফিনিশার রোলে রিঙ্কু সিংকে দেখা যেতে পারে বিশ্বকাপে (বিশ্বকাপ ওপেনার হবেন কোহলি, কপাল পুড়ছে কার?)।