আগের ম্যাচে নায়ক ছিলেন ফিল ফোডেন। বেঞ্চে ছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনা আর আর্লিং হালান্ড। আজ ঘটল উল্টো ঘটনা (টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সিটির এক হালি গোল)। বেঞ্চে ফোডেন। আর মাঠে ডি ব্রুইনা এবং আর্লিং হালান্ড। তাতে অবশ্য ম্যানচেস্টার সিটির গল্পটা বদল হলো না। সেদিনের মতো আজও প্রতিপক্ষের জালে চার গোল দিয়ে গোলের উৎসব সারল ম্যানসিটি। পিছিয়ে পড়া ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয় পেয়েছে তারা।
ক্রিস্টাল প্যালেস ২ – ৪ ম্যানচেস্টার সিটি
ক্রিস্টালের ঘরের মাঠ সেলহার্স্ট পার্কে শুরুটা দারুণ করেছিল ঘরের দলই। তিন মিনিটের মাথায় গার্দিওলার শিষ্যদের বিপক্ষে লিড পায় ক্রিস্টাল। দারুণ এক থ্রু পাসের সূত্র ধরে স্টেফান ওর্তেগাকে পরাস্ত করেন দারুণ ফিলিপ মাতেতা। পিছিয়ে পড়ার পরেই অবশ্য খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে ম্যানসিটি।
সমতায় আসতে সিটিজেন্সদের সময় লেগেছে মোটে ১০ মিনিট। বাঁ প্রান্তে বক্সের বাইরে থেকে ডি ব্রুইনাকে বল বাড়ান জ্যাক গ্রিলিশ।কিছুটা ভাগ্যের সুবাদেই ডিফ্লেক্টেড বল পেয়ে যান ডি ব্রুইনা। খানিক সামনে এগিয়ে দূরের পোস্টে যে শট নিয়েছেন বেলজিয়ান তারকা, তাতে প্যালেস গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসনের কিছুই করার ছিল না।
আরও পড়ুন-এক সেঞ্চুরিতে প্রশংসা ও সমালোচনা দুটোই পেলেন কোহলি
মাঝে দুই দলই সুযোগ পেয়েছিল। সিটির হালান্ড মিস করেছেন সহজ সুযোগ আর প্যালেসের জর্ডান আইয়ুর শট ফিরে এসেছে ক্রসবার থেকে। সমতায় থেকেই টানেলে ফেরে দুই দল।
অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই রিকো লুইসের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। বাঁ প্রান্ত থেকে গ্রিলিশ বক্সে মাপা ক্রস করেছেন। হেডের মাধ্যমে সেই বল অ্যান্ডারসন দেন বক্সের মধ্যে থাকা লুইসকে। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি।
সিটির বড় নাম হালান্ড ব্যবধান বাড়িয়েছেন ৬৬ মিনিটে এসে। এবারের অ্যাসিস্টের ভূমিকায় ডি ব্রুইনা। আর বেলজিয়ান তারকা ডি ব্রুইনা তার দ্বিতীয় গোলটি করেন ৭০ মিনিটে। রদ্রির পাস থেকে গোল করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই তারকা। ৮৬ মিনিটে এদুয়ার্দের গোলে ব্যবধান কমায় প্যালেস।
এই জয়ে আর্সেনালকে পেছনে ফেলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৩১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ৭০। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আর্সেনাল। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৩০ ম্যাচে ৭০ (টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সিটির এক হালি গোল)।