জন্মদিনেও তাঁকে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় দেখা গেছে। তবে পরিবারে পক্ষ থেকে ঘরোয়া পরিবেশে দিনটি পালন করা হতো। বঙ্গবন্ধুর জন্য পছন্দের খাবার রান্না করা হতো। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানাতেন। তারা কেক কেটে মিছিল করে জন্মদিন উদযাপন করতেন।
বঙ্গবন্ধু একাত্তরের উত্তাল মার্চে তাঁর জন্মদিনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। ৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জন্মদিনেও (১৭ মার্চ) তিনি বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ব্যস্ততম সময় পার করেন। অবশ্য ৭৫ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শেষ জন্মদিনটিতে ব্যাপক আয়োজন করেছিল তার দল, সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যসহ বিভিন্ন স্থানের নেতাকর্মীরা। তাঁর ৫৫তম জন্মদিনে ৫৫ পাউন্ড কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভিন্ন বছরের আলোচনা সভায় বলেছেন, আব্বা নিজে কখনও জন্মদিন পালন করতেন না। আমরা খুব ঘরোয়াভাবে পালন করতাম। বাবার পছন্দের খাবার রান্না করতেন মা। আমরা একসঙ্গে বসে খেতাম। এই দিন খুব অল্পই আমরা পেয়েছি। কারণ, অধিকাংশ সময় বাবাকে জেলে থাকতে হয়েছে। একটানা দুটি বছর কখনও আমরা তাঁকে কাছে পাইনি।
বন্দিদশায় ৮ বার জন্মদিন
পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সময় চার হাজার ৬৮২ দিন জেলে কাটিয়েছেন। পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরের প্রায় ১৩ বছরই বঙ্গবন্ধুকে জেলে থাকতে হয়েছে। এ সময় কারাগারের ভেতরে ৮ বার জন্মদিন কেটেছে তাঁর।
বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম ১৯৫০ সালে তাঁর ৩০তম জন্মদিনে কারাগারে কাটান। টানা ৭৮৭ দিন বন্দি অবস্থায় ১৯৫১ সালে ৩১তম জন্মদিনও কাটে জেলে। আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করলে ১৯৫৮ সালের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হয়ে টানা ১১৫৩ দিন বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। এ সময় তাঁর ৩৯তম (১৯৫৯ সাল), ৪০তম (১৯৬০) ও ৪১তম (১৯৬১) জন্মদিন কাটে জেলখানায়। ওই দফায় ১৯৬১ সালের শেষ দিকে মুক্তি পাওয়ার কয়েক মাসের মাথায় ১৯৬২ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি ফের গ্রেফতার হওয়ায় ৪২তম (১৯৬২) জন্মদিন তাঁকে জেলে কাটাতে হয়। এরপর ১৯৬৭ সালে ৪৭তম এবং ১৯৬৮ সালে ৪৮তম জন্মদিনও জেলখানায় কাটে বঙ্গবন্ধুর।
যেভাবে পালিত হয় ৪৭তম জন্মদিন
জাতির পিতার কারাগারে কেটে যাওয়া ৮টি জন্মদিনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু পাওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধুর জেল জীবন নিয়ে প্রকাশিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’— বই দুটির মধ্যে ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ে জেলখানায় বঙ্গবন্ধুর একটি জন্মদিন কাটানোর বিবরণ পাওয়া গেছে। ১৯৬৭ সালের ১৭ মার্চ তাঁর ৪৭তম জন্মদিনটি কেমন কেটেছিল এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগ কী কর্মসূচি পালন করেছিল— জাতির পিতা তাঁর লেখনীতে তা তুলে ধরেছেন। ডায়েরির পাতায় জন্মদিন উপলক্ষে তিনি এমনও লিখেছেন, ‘আমি একজন মানুষ, আমার আবার জন্মদিবস!’
কারাগারের রোজনামচা বইয়ে উঠে এসেছে যে, জন্মদিনের তিন দিন আগে স্ত্রী ও সন্তানেরা তাঁর সঙ্গে জেলগেটে দেখা করে যান। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে জন্মদিনে আবার দেখা হওয়ার সুযোগ হবে কিনা, সেই সংশয় ছিল জাতির পিতার। তবে পরিবারের সদস্যরা আবারও আসবে বলে আত্মবিশ্বাসও ছিল তাঁর মনে। অবশ্য ওইদিন তাঁর আত্মবিশ্বাসেরই জয় হয়েছিল। জন্মদিনের দিন বিকাল ৫টার দিকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কারাগারে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বঙ্গবন্ধুর জন্য অন্য একজনের পাঠানো জন্মদিনের কেকও নিয়ে আসেন বেগম মুজিব।
নিজের হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর মুক্ত জীবনের জন্মদিনগুলো ঘটা করে পালন না করলেও ১৯৬৭ সালের জন্মদিনটা কিছুটা আওয়াজ দিয়েই পালন করেছিল।
৪৭তম জন্মদিনে (১৯৬৭ সালের ১৭ মার্চ) ডায়েরিতে তিনি লিখেছিলেন— জন্মবার্ষিকী তিনি কোনও দিনই নিজে পালন করেননি। বেশি হলে তাঁর স্ত্রী ওই দিনটাতে তাঁকে ছোট্ট একটি উপহার দিয়ে থাকতেন। তিনি চেষ্টা করতেন জন্মদিনের দিনটিতে বাড়িতে থাকতে। ঢাকা সিটি আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করছে বলে খবরের কাগজের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন বলে ডায়েরিতে উল্লেখ করে করেন। বঙ্গবন্ধুর ধারণা, তিনি জেলে বন্দি বলেই দল থেকে জন্মদিন পালন করা হয়েছে। দল জন্মদিন পালন করেছে দেখে তিনি হেসেছিলেন বলেও ডায়েরিতে উল্লেখ করেন। জন্মদিন পালনের বিষয়টিকে তিনি ডায়েরিতে লিখেছেন এমনভাবে যে, ‘আমি একজন মানুষ, আমার আবার জন্মদিবস!’
ওইদিন জেলখানায় আটক তাঁর দলের অন্য নেতারা জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে গোলাপ, ডালিয়াসহ নানা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বলেও উল্লেখ করেন। এছাড়া ঢাকা সিটি আওয়ামী লীগও বঙ্গবন্ধুর জন্য একটা বিরাট কেক ওইদিন পাঠিয়েছিল, যার বিবরণ তাঁর ডায়রিতে পাওয়া যায়।
একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন
১৯৭১ সালের মার্চের উত্তাল সময়ে বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিন (৫১তম জন্মবার্ষিকী) চলে আসে। জন্মদিনের দিনে (১৭ মার্চ) তিনি ঢাকায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় একজন সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। এর জবাবে বঙ্গবন্ধু তাকে বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আজ আমার জন্মদিন। তবে ৫৩তম নয়। পত্রিকায় ভুল ছাপা হয়েছে, আজ আমার ৫২তম জন্মদিন।’
জন্মদিন পালনের প্রসঙ্গ এলে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি আমার জন্মদিনের উৎসব পালন করি না। এই দুখিনী বাংলায় আমার জন্মদিনই বা কী, আর মৃত্যু দিনই বা কী? এদেশের জনগণের কাছে জন্মের আজ নেই কোনও মহিমা। জনগণ আজ মৃতপ্রায়। আমার আবার জন্মদিন কী? আমার জীবন নিবেদিত আমার জনগণের জন্যে। আমি যে তাদেরই লোক।’
তিনি বলেন, তিনি জন্মদিন পালন করেন না। জন্মদিনে মোমবাতিও জ্বালান না, কেকও কাটেন না। ওই সময় সাংবাদিকরা বঙ্গবন্ধুকে জন্মদিনের প্রত্যাশা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জনগণের সার্বিক মুক্তি।’
তবে হাজার হাজার জনগণ সেদিন তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন। অনেকেই সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন শুভেচ্ছা-সামগ্রী। ওইদিন জন্মদিন উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসরের নামাজের পর বঙ্গবন্ধুর জন্য দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জন্মদিন
১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ছিল স্বাধীন বাংলার মাটিতে জাতির পিতার প্রথম জন্মদিন। বঙ্গবন্ধুর ৫২তম এ জন্মদিনটিও বরাবরের মতোই অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে উপস্থিত হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানকারী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী। দিনটি ব্যাপক ব্যস্ততার মধ্যেই কাটাতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। সেদিন শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ৫৫ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে ফলমূল ও মিষ্টান্ন উপহার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের আয়োজনকে দিয়েছিলেন ভিন্নমাত্রা। এ দিন ঢাকা শহর আওয়ামী লীগ ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই দিনটিকে পালন করে। দলের পক্ষ হতে ভোরে বঙ্গবন্ধুকে মালাভূষিত করে দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে, এ ছুটি যে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের জন্য নয়, সেটা তিনি নিজেই স্পষ্ট করেছিলেন। শেখ মুজিব স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ছুটি ইন্দিরা গান্ধীর বাংলাদেশ আগমন উপলক্ষে। তিনি বলেছিলেন, ভবিষ্যতে তাঁর জন্মদিন আর সরকারি ছুটির দিন হিসেবে উদযাপিত হবে না। এই দিনটি কঠোর শ্রম ও বৃহত্তর কল্যাণে আত্মনিয়োগের দিন হিসেবে পালিত হবে। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় পালিত পরবর্তী তিনটি জন্মদিনে কোনও সরকারি ছুটি ছিল না। অবশ্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বতর্মান সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করছে। এ দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জীবদ্দশার শেষ জন্মদিন
১৯৭৫ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৫৫তম জন্মদিন জাতি গভীর শ্রদ্ধায় পালন করে। এ দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং দেশের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, মিলাদ-মাহফিল আয়োজন করা হয়। দলের নেতাকর্মীদের এক বিশাল মিছিল ৫৫ পাউন্ডের একটি কেক নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে উপস্থিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছর বয়সের প্রতীক হিসেবে কেকটিতে ৫৫টি চিহ্ন অঙ্কিত ছিল। একইসঙ্গে ছিল ৪টি পায়রা, যা রাষ্ট্রের ৪টি মূলনীতির প্রতীক। বঙ্গবন্ধু সেই কেক কাটেন। পরে কেকটি দরিদ্র মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এদিন বঙ্গবন্ধু তাঁর বাড়িতে আগত সবাইকে দেশ গঠনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার উপদেশ দেন। তাঁর জন্য আনা পুষ্পমাল্যের কিছু অংশ বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজার, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ও ভাষা আন্দোলনে শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা অর্পণের জন্য পাঠিয়ে দেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ১৯৭৫ সালের ১৭ মার্চ প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। এদিন ৩৯ জন আদর্শ চাষিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এদিন বিকালে কচি-কাঁচার মেলা, খেলাঘর, বয়স্কাউট, গার্লস গাইডসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। তাদের কলরবে মুখর হয়ে ওঠে গণভবনের সবুজ প্রাঙ্গণ। বঙ্গবন্ধু নিজেও যেন কয়েক মুহূর্তের জন্য শৈশবে ফিরে যান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে দিনটিতে জাতীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর শেষ জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর (২০২৩) ১৭ মার্চ তাঁর নাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘১৯৭৫ সালের মার্চের ১৭ তারিখ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পুরো রাস্তা ছিল তাঁর হাজার হাজার সমর্থক, দলীয় নেতাকর্মী আর সাধারণ মানুষের পদচারণায় মুখর। একসময় আমার নানা বঙ্গবন্ধু চলে আসলেন তাঁর বাড়ির গেটের কাছে। সেখানে দাঁড়িয়েই মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষ আর বাচ্চাদের সঙ্গে কুশলবিনিময় ও করমর্দন করতে ভোলেননি জনতার নেতা।’
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা আরও লেখেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি হিসেবে অনেক ব্যস্ত একটি দিন ছিল ১৭ মার্চ, ১৯৭৫। দেশের জন্য অবদান রাখা মানুষদের সেই দিন দেওয়া হয় ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার’। বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরপরই বঙ্গবন্ধু ছুটে গেলেন তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা স্কুলের শিশুদের কাছে। তারা গানে গানে, আর কবিতা আবৃত্তি করে বঙ্গবন্ধুকে জানালো তাদের ভালোবাসা।’’
জয় বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রপতি এরকম সাদামাটাভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন, তা না দেখলে বোঝার উপায় নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সামরিক শাসকেরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এরকম অনেক তথ্য চিরতরে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিছু ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এরকম অনেক দুর্লভ ভিডিও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ উদ্ধার করেছে বিভিন্ন উৎস থেকে। ইতিহাসের অনেক ঘটনা এখন জনসম্মুখে আসছে।’