ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইসফাহান শহরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এটাকে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে উল্লেখ করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এবিসি ও সিবিএস এই খবর প্রচার করে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্সও একই তথ্য জানিয়েছে। কিন্তু ইরান বা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনও কোনও তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি।
ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইসফাহানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে তারা বিস্ফোরণের কোনও কারণ জানায়নি।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, বিস্ফোরণের পর ভোর ৪টার দিকে ইসফাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
ইসফাহান প্রদেশে ইরানের বড় একটি বিমান ঘাঁটি, অন্যতম একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কারখানা ও বেশ কয়েকটি পরমাণু স্থাপনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- ঝামেলা দিয়ে শুরু শিল্পী সমিতির নির্বাচন
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইরিব জানায়, ইসফাহান ও এর বসিন্দারা নিরাপদে আছে, সেখানে সবকিছু স্বাভাবিক চলছে।
তবে ইরানের বড় কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানায় বিবিসি।
রয়টার্স জানায়, শুক্রবার সকালে ইরানে হামলার আগে আগে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তবে এটাকে ‘ফলস অ্যালার্ম’ বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গত শনিবার ইসরায়েলে ইরানের তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে ইসরায়েল এই প্রতিক্রিয়া জানালো বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে শান্ত থাকার ও কোনও হামলা না চালানোর অনুরোধ জানিয়েছিল। সেটা উপেক্ষা করেই ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো।
এর আগে গত ১ এপ্রিল থেকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ সতর্কতামূলক অবস্থান নেয়। ওই দিন সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাস প্রাঙ্গণে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের সাত সামরিক উপদেষ্টা নিহত হন। এই ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে তেহরান। এরপরই ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।