এসেনশিয়াল ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন কে। ভিটামিনটির ঘাটতি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যগত অবস্থা বা যারা নির্দিষ্ট ওষুধ খান তাদের ঝুঁকি রয়েছে ভিটামিন কে এর ঘাটতিতে ভোগার। ভিটামিন কে এর ঘাটতি হলে কীভাবে বুঝবেন? ভিটামিন কে এর দুটি প্রধান প্রকার রয়েছে। একটি হচ্ছে ভিটামিন কে ১ (ফাইলোকুইনোন) যা উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়, বিশেষ করে পালং শাক এবং কলির মতো সবুজ শাকসবজি এর উৎস। আরেকটি প্রকার হচ্ছে ভিটামিন কে ২ (মেনাকুইনোন), প্রাকৃতিকভাবে অন্ত্রে তৈরি হয় এটি এবং কে ১ এর মতোই কাজ করে।
ভিটামিন কে এর ঘাটতির কারণে রক্ত জমাট বাঁধা গুরুতরভাবে ব্যাহত হয় এবং অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত হয়। রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ার সময় কাজ করে এমন প্রোটিন তৈরি করার জন্য শরীরের ভিটামিন কে প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভিটামিন কে হাড়ের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের তথ্য অনুযায়ী, নারীদের ক্ষেত্রে দৈনিক ১২২ মাইক্রোগ্রাম ও পুরুষের ক্ষেত্রে দৈনিক ১৩৮ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে প্রয়োজন পড়ে। ভিটামিনটির অভাব হলে কোন কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় জেনে নিন।
ভিটামিন কে এর ঘাটতি হলে কীভাবে বুঝবেন? ভিটামিন কে এর ঘাটতির প্রধান লক্ষণ হচ্ছে অতিরিক্ত রক্তপাত। কাটা বা ক্ষত স্থান ছাড়া অন্য জায়গায়ও রক্তপাত হতে পারে। অনেক সময় নখের নিচে ছোট রক্ত জমাট বাঁধে। ভিটামিন কে এর অভাবজনিত রক্তপাতকে বলা হয় ভিকেডিবি। শরীরের ভেতরেও রক্তপাত হতে পারে এই ভিটামিনের অভাবে।
আরও পড়ুন-
১ লাখ সেনা প্রস্তুত করছে রাশিয়া: ইউক্রেন
সব উন্নয়ন সহযোগীকে এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী
ভিকেডিবি আক্রান্ত শিশুর অন্ত্রে বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে, যা মস্তিষ্কের ক্ষতি এমনকি মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। শিশুদের মধ্যে ভিটামিন কে এর ঘাটতি দেখা দিলে তন্দ্রা, বমি কিংবা খিঁচুনি হতে পারে। এছাড়া মাথায় ক্ষত হওয়াও কে ভিটামিন কম থাকার লক্ষণ।
ভিটামিন কে এর অভাব হাড়কে দুর্বল করতে পারে যা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
কোন কোন খাবারে পাবেন ভিটামিন কে
পালং শাক
মুরগির মাংস
ব্রকোলি
শালগম
ডালিম
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন, ওয়েব এমডি ও ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক