সুনীল নারিন ব্যাটিংয়ে মুগ্ধতা ছড়ালেন ঝড়ো ইনিংস খেলে। এই ওপেনার সেঞ্চুরি করে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে এনে দেন ২২৩ রানের বড় সংগ্রহ। আইপিএলের শীর্ষ দল রাজস্থান রয়্যালস পাল্টা জবাব দিলো ওপেনার জস বাটলারের ব্যাটে চড়ে। ইংলিশ ব্যাটারের ঝড়ে শেষ বলে ২ উইকেটের নাটকীয় জয় তুলে নিলো রাজস্থান।
নিজেরাই নিজেদের রেকর্ডে ভাগ বসালো রাজস্থান। যৌথভাবে রেকর্ড আইপিএল রান তাড়া করে জিতলো তারা। ২০২০ সালে শারজায় তৎকালীন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে জিতেছিল রাজস্থান।
ব্যাট হাতে নারিন করেন প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। বড় জুটি বলতে তিনি আংক্রিশ রাঘুবংশীর সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়েন। ৫৬ বলে ১৩ চার ও ৬ ছয়ে ১০৯ রানে ইনিংসের ১৮তম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন নারিন। তার পর সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন রাঘুবংশী। তৃতীয় সবচেয়ে বেশি ২১ রান আসে এক্সট্রা খাত থেকে। ৯ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন রিংকু সিং।
ছয় উইকেটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুটি করে উইকেট গেছে আবেশ খান ও কুলদীপ সেনের পকেটে।
আরও পড়ুন- টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সিটির এক হালি গোল
বড় লক্ষ্যে নেমে ঝড়ো সূচনার বিকল্প ছিল না রাজস্থানের সামনে। প্রথম ১১ বলে ২২ রান তুলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ১৯ রান করে বৈভব অরোরার শিকার হন যশস্বী জয়সওয়াল। হার্ষিত রানা সাঞ্জু স্যামসনকে (১২) ফিরিয়ে দেন। তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে রিয়ান পরাগ (৩৪) হার্ষিতের তৃতীয় শিকার হলে। মাত্র ১৪ বলে ক্যামিও ইনিংস খেলে রিয়ান অষ্টম ওভারেই দলকে একশর কাছাকাছি নিয়ে যান।
কিন্তু দলীয় ৯৭ রানে তার বিদায়ের পর ১৩তম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শিমরন হেটমায়ারকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন বরুণ চক্রবর্তী। তার সঙ্গে নারিন বল হাতে মিতব্যয়ী ছিলেন। তাতে করে চাপে পড়ে রাজস্থান। ১৩তম ওভারে ১২১ রানে ৬ উইকেট পড়ে তাদের।
ক্রিজে নামেন রভম্যান পাওয়েল। ১৪ ওভারে রাজস্থানের স্কোর ৬ উইকেটে ১২৮ রান। শেষ ৩৬ বলে ৯৬ রান দরকার। বাটলার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। সঙ্গে আগ্রাসী পাওয়েল। দুজনের ব্যাটে পরের দুই ওভারে ৩৪ রান করে রাজস্থান।
পাওয়েল ফুরিয়ে যাওয়ার আগে জ্বলে ওঠেন। ১৭তম ওভারে ১৩ বলে ২৬ রান করেন নারিনের শিকার হন তিনি। ওই ওভারে রাজস্থানের বোর্ডে জমা হয় ১৬ রান।
বোল্ট ব্যাটিংয়ে নেমে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। বাটলার স্ট্রাইকের জন্য মরিয়া থাকায় দ্বিতীয় রান নিতে গেলে নিউজিল্যান্ড ব্যাটার রানআউট হন। তাতে ভালো হয়েছে। ১৮তম ওভারে ১৮ রান এনে দেন বাটলার।
পরের ওভারে ইংলিশ ব্যাটারের চার-ছক্কার বৃষ্টিতে ১৯ রান যোগ হয়। তাতে শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৯ রানে। স্লো ওভার রেটিংয়ের অপরাধে শেষ ওভারে কলকাতার ফিল্ডিংয়ে পাঁচ জনের বদলে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে ছিলেন চার জন।
সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন বাটলার। বরুণের প্রথম বলে ছক্কা মেরে ৫৫ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। পরের তিন বলে ডট হলে চাপে পড়েছিল রাজস্থান। পঞ্চম বলে দুটি রান নিয়ে স্কোরে সমতা আনেন বাটলার। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ইডেন গার্ডেন্সে স্বাগতিকদের হতাশায় ভাসান তিনি। ৮ উইকেটে ২২৪ রান করে রাজস্থান।
৬০ বলে ৯ চার ও ৬ ছয়ে ১০৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা বাটলার।
৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রাজস্থান। এক ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্টে দ্বিতীয় কলকাতা।