প্রথমার্ধে একচ্ছত্র দাপট দেখিয়েও পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয় বায়ার্ন মিউনিখকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে স্বাগতিক দল। ৪ মিনিটের ব্যবধানে পেয়ে যায় লিডও। ম্যাচের শেষদিকে পেনাল্টি থেকে গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। আর তাতে ড্রয়ে শেষ হল রিয়াল-বায়ার্নের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই (ভিনিসিউসের জোড়া গোলে মিউনিখে ড্র করল রিয়াল)।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখ। রিয়ালের হয়ে দুটি গোলই করেছেন ভিনিসিউস জুনিয়র। বায়ার্নের হয়ে একটি গোল করেছেন লেরয় সানে। স্পটকিক থেকে অন্য গোলটি করেছেন হ্যারি কেইন।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে বায়ার্ন। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণে রীতিমতো কাঁপন ধরিয়েছে স্বাগতিকরা। তবে লেরয় সানে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি বায়ার্নের।
বায়ার্নের ক্রমাগত আক্রমণে বিপর্যস্ত রিয়াল হুট করেই চমকে দিয়েছে। ২৪ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে গিয়ে লিড নেয় কার্লো আনচেলত্তির দল। প্রায় মাঝ মাঠের কাছাকাছি জায়গা থেকে বায়ার্নের চার ডিফেন্ডারের ফাঁদ এড়িয়ে দুর্দান্ত এক থ্রো বল বাড়ান টনি ক্রুস। আর সেই বলকে দখলে নিয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে জালের ঠিকানা দেখান ভিনিসিউস। এই গোলে ইতিহাসের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
আরও পড়ুন- বেড়েছে রাবার উৎপাদন, আয় এক কোটি ১৭ লাখ টাকা
মিউনিখের ডেরায় রিয়ালের থিতু হতে সময় লেগেছে আধাঘণ্টা। ৩০ মিনিট পেরোনোর পর ধীরে ধীরে আক্রমণে উঠতে শুরু করে আনচেলত্তির দল। তবে প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর গোল পাওয়া হয়নি কারোরই। এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল।
প্রথমার্ধে রক্ষণাত্মক রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার চেষ্টায় নামে। তাতে কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও জালের দেখা মেলেনি। উল্টো ৫৩ মিনিটে সমতা ফেরায় বায়ার্ন। ডান প্রান্তে বল পেয়ে দারুণ এক শটে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান সানে।
এগিয়ে যাওয়ার মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যেই লিডও পেয়ে যায় বায়ার্ন। বক্সের ভেতর জামাল মুসিয়ালাকে লুকাস ভাসকেজ ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। স্পটকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইংলিশ তারকা হ্যারি কেইন।
এগিয়ে যাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসী বায়ার্ন একের পর এক আক্রমণে রিয়ালের রক্ষণে ভীতি ছড়াতে থাকে। লিড বাড়ানোর মরিয়া প্রচেষ্টায় অসাধারণ কিছু আক্রমণ করে টমাস টুখেলের দল। তবে কয়েকবারই অল্পের জন্য হতাশ হতে হয়েছে তাদের।
বায়ার্নের আক্রমণের চাপে থাকা রিয়াল ৮৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ পেয়ে যায়। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে কিম মিন রদ্রিগোকে ফাউল করলে বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিউস। আর তাতে মিউনিখের ডেরা থেকে ড্র নিয়ে ফিরেছে রিয়াল (ভিনিসিউসের জোড়া গোলে মিউনিখে ড্র করল রিয়াল)।