চলতি আইপিএলে যেন নিজের চেনা ফর্মটাই ফিরিয়ে আনছেন বিরাট কোহলি। দল হিসেবে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু সুবিধা করতে না পারলেও নিজের জাত ঠিকই চেনাচ্ছেন কোহলি (এক সেঞ্চুরিতে প্রশংসা ও সমালোচনা দুটোই পেলেন কোহলি)। ব্যাট হাতে আজকাল তার রান করাই যেন রেকর্ড। সেটাই আজ হলো উত্তরপ্রদেশের মাঠ জয়পুরে। রাজস্থান রয়্যালসের হোমভেন্যুতে নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পেয়েছেন কোহলি।
বিরাট কোহলির আইপিএল ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে রেকর্ড জয়পুরের এই মাঠেই। এখানে এলেই কেন যেন নিজেকে হারিয়ে খোঁজেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। তবে আজ শুরু থেকেই খেলেছেন নিজের চেনা ছন্দে। একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালিয়েছেন। ইনিংসের ৮ বল বাকি থাকতেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা।
সেঞ্চুরির পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসায় ভাসছেন কোহলি। আইপিএলে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন আগেই। ক্রিস গেইলের ৬ আর জশ বাটলারের ৫ সেঞ্চুরির বিপরীতে কোহলির সেঞ্চুরি ছিল ৭টি। সংখ্যাটাকে আজ নিয়ে গেলেন আটে। ২৩৪ ইনিংস খেলে এই কীর্তি গড়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-আইসিসির সঙ্গে চুক্তি, ২ বছর বাংলাদেশের ম্যাচ দেখাবে যারা
তবে একই সেঞ্চুরিতে সমালোচনাও হয়ত সইতে হবে তাকে। ৬৭ বলের এই সেঞ্চুরি যে আইপিএলে ইতিহাসেই সবচেয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরি। ২০০৯ সালে সবশেষ ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মনীশ পান্ডে। ৬৬ বলে সেঞ্চুরি করেছেন তিনজন। ২০১১ সালে শচীন টেন্ডুলকার, ২০১০ সালে ডেভিড ওয়ার্নার এবং ২০২২ সালে জশ বাটলার তিন অঙ্কে যেতে খেলেছিলেন ৬৬ বল।
বেশ কিছুদিন ধরেই বড় স্কোর করলেও স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনা সইতে হচ্ছে কোহলিকে। অনেকের মতেই তার ইনিংসে ডট বলের সংখ্যা বেড়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতের অনেক সমর্থকই যা মানতে নারাজ। কোহলির কাছ থেকে আরও ঝড়োগতির ইনিংস প্রত্যাশা তাদের।
তবে জয়পুরের এই পিচের কথাও আলাদা করে বলা দরকার। আজকের ম্যাচের আগে রাজস্থানের মাঠে কোহলির গড় ছিল ২২ এর নিচে। এমনকি এর আগে কেবল একবারই এই মাঠে আইপিএলে সেঞ্চুরি এসেছিল। ২০১৯ সালে আজিঙ্কা রাহানে দিল্লির বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০৫ রানের ইনিংস। সে হিসেবে এই মাঠে আইপিএলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহও এটি (এক সেঞ্চুরিতে প্রশংসা ও সমালোচনা দুটোই পেলেন কোহলি)।